নিজস্ব প্রতিবেদক:
ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদ- চেয়ে মুখে কালো কাপড় বেধে মানববন্ধন করেছে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট।
বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
নারায়ণগণঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ধীমান সাহা জুয়েলের সঞ্চালনায় জোটের সভাপতি এড. জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা রফিউর রাব্বি, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি হাফিজুল ইসলাম।
চার বছরের শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা রফিউর রাব্বি বলেন, আজ এই সময় বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় মানুষ মুখে কালো কাপড় বেধে ফেস্টুন নিয়ে, ব্যানার নিয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে রাজপথে দাড়িয়েছে। আজকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিটি জেলায় একারনেই দাড়াঁতে হচ্ছে কারন, আজকের আমাদের সমাজের বাস্তবতায় চার বছরের শিশু থেকে আশি বছরের বৃদ্ধ পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে।
হিং¯্রদের খপ্পরে আমাদের কিভাবে দেশ পরে গেল উল্লেখ করে রাব্বি আরও বলেন, মাঝে মাঝে অবাক হই, একি আমাদের দেশ, এই কি আমাদের দেশের চেহারা? এই কি আমাদের দেশের চেহারা? কিভাবে আমাদের দেশটি হিংস্রদের খপ্পরে পড়ে গেল? কিভাবে হিংস্রদের বেপোরোয়া হয়ে গেল?
আইনের দূর্বল দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা পরিসংখ্যান যদি দেখি, ধর্ষণের যে মামলাগুলো হয়। এর ৭০ ভাগ মামলার বিচার হয় না। ধর্ষক শাস্তি পায়, এধরনের মামলা ৫ ভাগেরও নিচে। যে মামলাগুলো আদালতে এবং থানায় সংগঠিত হয়, সেই মামলাগুলোর তদন্ত এতই দুর্বল, ধর্ষকরা আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে। শত শত প্রমাণ থাকা সত্যেও ধর্ষক যখন ফাঁকফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে যায়, তখন সমাজে এই নৈরাজ্য এবং অপরাধী ধর্ষকরা উৎসাহ পাবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা আজ দাবি করছি, প্রয়োজনে আইনের পরিবর্তন করে হলেও আমরা চাই সরকার ধর্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান করবে। ধর্ষকদের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা হবে। ইভটিজিং সহ নারী উত্তক্তকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার যাবে।
অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, বাসদ-এর সমন্বয়ক নিখিল দাস, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বিকল্প সদস্য জাকির হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের আহবায়ক তরিকুল সুজন, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক উপদেষ্টা ভবানী শংকর রায়।